ইনভেলপ - এক্সট্রিম নয়েজ

গভীর রাত। চারিদিকে নিশ্ছিদ্র নীরবতা। ছোট্ট ঘরের বারান্দায় এক হাতে একটি ব্রাউন ইনভেলপ আরেক হাতে এক টুকরো দুঃস্বপ্ন নিয়ে জীবনের ফেলে আসা দিন গুলোর ভুল ভ্রান্তির হিসেব কষছি। সামনে আমার ঘন কালো অন্ধকারে ভরা ধুধু মরুভূমি। আর আমি ফেলে আসা দিন গুলোর মাঝে এই অন্ধকারের আলো খুজছি। হাহাহা ভাবতেই হাসি পাচ্ছে।

আমি ফাহিম।
মা বাবার অতি আদরের একমাত্র সন্তান বলে তারা কখনোই আমার কোন চাওয়া অপূর্ণ রাখেননি। আমি যাতে কখনো একাকীত্ব বোধ না করি সে জন্য সব সময় মরিয়া হয়ে চলেছেন। কিন্তু তারা হয়ত কখনো চিন্তাও করেননি এক সময় আমি নিজের মাঝেই একা হয়ে যাব। ছোট বেলা থেকেই আমার বড় মামার পরিবারের সাথে আমাদের সম্পর্কটা অন্যান্য আত্মীয়দের চেয়েও অনেক বেশি। মামার এক ছেলে এক মেয়ে। পারিবারিক সম্পর্ককে আরো বেশি আপন করতে ছোট বেলা থেকেই মামা মামী ও আমার মা বাবার ইচ্ছা আমার মামাতো বোন সিমুকে আমার বউ করার। আমাদের নিয়ে তাদের স্বপ্নেরও কোন শেষ ছিল না। এমনকি বড় হবার পরেও তাদের মতের কোন পরিবর্তন দেখিনি। আমরা বড় হবার পরে যেন তাদের স্বপ্নকে তাদের হাতের কাছে মনে হচ্ছিল। তখন মাঝে মাঝে সিমুকে দেখলে মনে হত সেও যেন আমাকে নিয়ে এক গাদা স্বপ্ন নিয়ে বসে আছে।

বিশেষ দিন গুলোতে আমাকে সবার আগে অভিনন্দন জানানো, মাঝে মাঝে আমাকে অসাধারণ কিছু গান ও কবিতা ডেডিকেট করা, আমার পছন্দের খাবার বানিয়ে হঠাৎ করেই আমার বাসায় চলে আসতেও সে ভুল করত না। আর বিনিময়ে আমার কাছ থেকে এক রাশ তাচ্ছিল্য নিয়ে তাকে ফিরে যেতে হত। আমি তাকে বুঝাতে পারতাম না তার এই ভালবাসার এজহার আমার কাছে কোন মানে রাখে না। কারণ আমার মনে যে তার জন্য বোন হিসেবে স্নেহের চেয়ে বেশি কিছু নেই। আমার মাঝে যে সাত রঙের দোলনা দোলে। আমি যে পারিনা তার মধ্য থেকে একটি রঙকে আলাদা করে বেছে নিতে। বলতে পারিনি, আমি যে সম জাতের ভালবাসায় বিশ্বাসী। আমি যে সমকামী।
এমবিএ শেষ করার পর একটা মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানিতে আমার চাকরি হয়ে গেল। আর আমি আমার ছোট ছোট স্বপ্ন গুলোকে সাজাতে লাগলাম। কিন্তু আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমাকে নিয়ে আরো অনেকেই স্বপ্ন দেখছে। মনে পড়ল তখন যখন আমার মা বাবা সিমুর সাথে আমার বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আমার সামনে এলো। আমি যেন মুহুর্তের মধ্যেই নিঃস্ব হয়ে গেলাম। মনে মনে ভাবলাম এটা হতে পারে না। আমি সব বলে দেব মা বাবাকে। কিন্তু আমাকে কেন্দ্র করে তাদের চোখে মুখে যে আনন্দ উৎকণ্ঠা গর্বের ছাপ দেখলাম, এতে আমার আসল পরিচয় তাদের সামনে তুলে ধরে তাদের চোখে মুখে লজ্জা রাগ ক্ষোভ ও অপমানের ছাপ এনে দেওয়ার কথা ভাবতেই নিজেকে অপরাধী মনে হল। হঠাৎ মনে পড়ল আমার মা হার্টের রোগী। সে হয়ত এ কথা কিছুতেই সহ্য করতে পারবেন না। তাই থেমে গেলাম। নিজেকেই নিজের ভিতরে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলাম। অবশেষে একদিন সিমু আমার বউ হয়ে ঘরে এলো। বুক ভরা এক গাদা স্বপ্ন আর ভালবাসা নিয়ে সিমু মুহুর্তেই আমাদের সংসারটাকে আপন করে নিলো। ঘরে বাইরে আত্মীয় স্বজনদের কাছে সিমুর সুনাম খুব বেশি বেড়ে গেল। অফিসের সব সহকর্মীরা আমার প্রতি সিমুর দায়িত্বশীলতা দেখে হিংসে করতে। এমনকি মাঝে মাঝে ওর দিকে তাকিয়ে আমিও অবাক হয়ে যেতাম, ভাবতাম এই কি সেই সিমু? যে বিয়ের পর ৬ মাস পার হয়ে যাবার পরও আজ পর্যন্ত আমার কাছে স্ত্রীর মর্যাদা পায়নি। যাকে সমাজ সংসারের কাছে আমার স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে বেচে থাকতে হলেও বিয়ের রাত থেকে আজ পর্যন্ত বিছানায় তার আর আমার মাঝে দেড় ফুটের ব্যবধান। আর সব চেয়ে আশ্চর্য জনক ব্যাপার হল এই মেয়েটি কখনো আমার কাছে জানতেও চায়নি আমি কেন তার কাছ থেকে দূরে থাকি। প্রথম দিকে সে কয়েকবার আমার কাছাকাছি আসার চেষ্টা করলেও, আমার কাছ থেকে বাধা পেয়েছে। তার পর থেকে সে আর আমার কাছে আসার চেষ্টা করেনি। একদিন শুধু বলেছিল, “ফাহিম, আমি তোমার কাছ জোর করে কিছু চাইনা। যদি কখনো তোমার জীবনে আমার প্রয়োজন মনে কর, তাহলে একটিবার ইশারা করে দিও। কিন্তু নিজেকে কখনো ছোট করো না।”

সিমুর এসব কথা ও আচরণ দিন দিন আমাকে ওর দিকে টানতে লাগল। হয়ত ধীরে ধীরে এক সময় আমি আমার মাঝে নিহিত ব্যক্তিতাকে শেষ করে ওর ভালবাসার ডাকে সাড়া দিতে পারতাম, যদি হঠাৎ এক ঝড়ো হাওয়ার কাঁপন তুলে সায়মন আমার জীবনে না আসত।
সায়মনের সাথে আমার পরিচয় হয় অফিসের একটা প্রোগ্রামে। সে তখন সবে মাত্র অফিসে জয়েন করেছে। আর কাকতালীয় ভাবে তার অফিসটাও আমার ঠিক পাশেই হয়ে যায়। ও খুব বন্ধুত্বসুলভ প্রকৃতির। তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওর সাথে আমার বন্ধুত্বটা জমে উঠে। কথায় বলে, কাক যতই সং সেজে নিজেকে কবুতর বানানোর চেষ্টা করুক না কেন, অন্য কাকের কাছে সে ধরা পড়েই যায়। তেমনি দুজন সমকামীও কখনো একে অপরের কাছে নিজেদের পরিচয় গোপন করতে পারে না। কোন না কোন ভাবে তারা ধরা পড়েই যায়। একদিন কোন এক কাজের জন্য সায়মন আমার কম্পিউটারে বসেই আমার গোপন ফেসবুক একাউন্ট টা আবিষ্কার করে ফেলে। আর তারপর সে নিজে থেকেই আমার কাছে তার আপন পরিচয়ে ধরা দেয়। শুরুতে আমি খুব অবাক হলেও পরে ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। আর এতে আমাদের মাঝে বন্ধুত্বটা অফিসের গণ্ডি পেরিয়ে শহরের অভিজাত রেস্টুরেন্ট, সিনেমা হল, টিএসসি, শপিং মলে চলে আসে। আর ধীরে ধীরে আমার দুর্বলতা সিমুকে এড়িয়ে সায়মনের দিকে যেতে লাগল। কেন জানি ওর লাজুক হাসি আমার ঘুমের মাঝেও দেখা দিত। দিন দিন আমি সায়মনের দিকে এতটাই ঝুকে পড়লাম, আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আমার জীবন যে অন্য কারো সাথে বাধা পড়ে আছে। আর একদিন সায়মনের ভালবাসার মোহে হারিয়ে গিয়ে ওকেই আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম। সায়মন আমার ব্যাপারে সব ই জানতো। তার পরেও সব কিছু মেনে নিয়ে আমার হাতে হাত রাখল। আর এভাবেই আমি আমার জীবনের আরেকটি নতুন ও ভয়ঙ্কর অধ্যায়ের সূচনা করেছিলাম। আসলে এটাকে আমি ভয়ঙ্কর বলতাম না যদি তার কিছু দিন পরেই অফিসের কাজে আমাকে ও সায়মনকে সিঙ্গাপুর যেতে না হত। সিঙ্গাপুর গিয়ে আমরা দুজন যেন আমাদের আপন ঠিকানা খুজে পেলাম। সেখানে আমার দুজন ভালবাসার ষোলকলা উপভোগ করতে লাগলাম। আর সেই ষোলকলা আমাদের উপর এতটাই আছর করল যে আমরা দুজনেই ঘর সংসার ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে সেখানেই আমাদের নতুন একটি সংসার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। অফিসের সাথে যোগাযোগ করে আমরা কোম্পানির সিঙ্গাপুর অফিসে ট্রান্সফার নিয়ে নিলাম। আর পরিশেষে যখন পরিবারের কথা মনে পড়ল তখন পড়ে গেলাম খুব বিপাকে। আমি বুঝতে পারছিলাম না মা বাবা ও সিমুকে আমি এখন কি বলব। সায়মন বলল সে ইতিমধ্যে তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, আর সে আমার সিদ্ধান্তটাও আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিল। বলল আমি যে সিদ্ধান্ত নিব এখন সে তাই মেনে নিবে। নিজের মনের সাথে হাজার যুদ্ধ করে আমি হার মানলাম। আর শেষমেশ সিমুকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম। আমার মাথায় তখন শুধু সায়মনের ভালোবাসাই কাজ করছিল।

দুনিয়ার কোন ভাল মন্দ আমার কাছে তখন মুখ্য ছিল না। যেই কথা সেই কাজ। তালাক নামায় সাক্ষর করে পাঠিয়ে দিলাম সিমুর কাছে। সাথে একটি চিঠি। কারণ ওর সাথে সরাসরি কথা বলার সাহস আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম। চিঠিতে আমি ওকে আমার আসল পরিচয় জানিয়ে দিলাম। সাথে ওর সাথে এতটা অভিনয় করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলাম। জানি আমি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য না। চিঠিটা পাওয়ার সাথে সাথেই আমার পরিবার সমাজ সংসার ও দুনিয়ার কাছে আমি একজন ঘৃণিত ব্যক্তি হয়ে যাব। মা বাবার কাছে অস্বীকৃত হবো। আমি আর ফিরে যেতে পারব না সেই জগতে। আর এটাকেই আমি আমার কৃত কর্মের শাস্তি হিসেবে মেনে নিলাম। কিন্তু আমি কল্পনাও করতে পারিনি বিধাতা আমার জন্য এর চেয়েও কঠোর শাস্তির বন্দবস্ত করে রেখেছেন। তালাকনামা ও চিঠিটা একটা ব্রাউন ইনভেলপে ভরে পাঠিয়ে দিলাম সিমুর কাছে। আর উন্মুক্ত বিহঙ্গের মত সায়মনেকে বুকে নিয়ে জীবনের আকাশে উড়ে বেড়াতে লাগলাম। সব কিছু হারিয়েও আজ নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষটি ভাবতে লাগলাম। এদিকে অনেক দিন হয়ে যাওয়ার পরেও সিমুকে পাঠানো ইনভেলপের কোন উত্তর পেলাম না। দেশ থেকে কেউ আমার সাথে যোগাযোগ ও করেনি এতদিনে। নিজে নিজেই আশ্চর্য হলাম। ভাবলাম সিমু কি ইনভেলপটি পায় নি? কুরিয়ার কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারলাম সিমু নিজ হাতেই ইনভেলপটি রিসিভ করেছে। এয়ারওয়ে বিলে তার সাক্ষর দেখে তা নিশ্চিত হলাম। একবার ভাবলাম ফোন করব। তারপর আবার ভাবলাম, না দেখি আর কিছুদিন। সব বাদ দিয়ে আমি আবার সায়মন কে নিয়ে মেতে উঠলাম।
আজ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩, ক্রিস্টমাসের অনুষ্ঠান শেষে আজ সকালে অফিসে গিয়ে দেখি আমার নামে একটি পার্সেল এসেছে বাংলাদেশ থেকে। প্রেরক বক্সে সিমুর নাম দেখে মনটা আনন্দে নেচে উঠল। ভাবলাম এই বুঝি সব পিছুটান থেকে মুক্তি পেলাম। খুশিতে হন্তদন্ত হয়ে ইনভেলপটি খুললাম। ভেতরে একটি চিঠি। চিঠিটি পড়তেই আমার সব আনন্দ সব খুশি এক নিমিষেই কোথায় যেন মিলিয়ে গেল। চিঠিটা ভাজ করে আবার সেই ইনভেলপে ঢুকিয়ে নিলাম। আমার শরীর কাপতে শুরু করল। পায়ের নিচের মাটি যেন হালকা হয়ে আসছে। অফিস থেকে শর্ট লিভ নিয়ে চলে এলাম। বাসায় এসে চিঠিটা আরো কয়েকবার পড়লাম।

আর এখন গভীর রাত, ভালোবাসায় গড়া এই ছোট্ট ঘরে সায়মন বিভোরে ঘুমাচ্ছে। আর আমি বারান্দায় এক হাতে সিমুর পাঠানো সেই ব্রাউন ইনভেলপ আর আরেক হাতে একটি দুঃস্বপ্নের মায়া ভরা চিঠি। দুচোখের পানি অজানা প্রশ্নোত্তর হয়ে ঝরছে। চিঠিটার দিকে যতবারই তাকাচ্ছি, মন শুধু একটাই প্রশ্নের উত্তর খুজে বেড়াচ্ছে, এখন আমি কি করব?

ফাহিম,
ছোট বেলা থেকেই আমি জানতাম তুমি খুব গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ। কথা কম বল। চুপচাপ থাকতে ভালোবাসো। কিন্তু কখনো ভাবিনী তোমার এই গম্ভীরতা আর নীরবতার পেছনে এমন একটি সত্য লুকিয়ে আছে। আর বুঝবোই বা কিভাবে, তুমি তো কখনো তোমাকে বোঝার মত কোন সুযোগ আমাকে দাওনি। ফাহিম তুমি বলেছিলে আমি চাইলে তোমাকে যেকোনো সাজা দিতে পারি। হয়ত এমন কিছু জানার পরে তোমার এই নির্মম সত্যকে সবার সামনে তুলে ধরে তোমাকে সাজা দেওয়াটাই আমার জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম এতে কি সাজাটা তোমাকে দেওয়া হবে? নাকি দেওয়া হবে তাদের যারা তোমাকে নিয়েই তাদের পৃথিবীটাকে সাজিয়েছে। আমার কথা না হয় বাদই দিলাম। আমি হয়ত তোমার কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে খুব সহজেই অন্য কারো সাথে আবার নতুন করে জীবন সাজাতে পারতাম। কিন্তু তোমার মা বাবা? তারা কি নতুন কাউকে তাদের ফাহিম হিসেবে পাবে? তারা কি এই সংবাদের চোট সহ্য করতে পারবে? জানি এখন তোমার কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর চাওয়া টা অর্থহীন। তাই আমিই বলছি, ছোট বেলা থেকে আমি তিল তিল করে তোমাকে ঘিরে যে ভালবাসার দুর্গ গড়েছি তা এত সহজে আমি ভেঙ্গে গুড়িয়ে যেতে দেব না। হ্যাঁ ফাহিম আমি এখনো তোমাকে ভালবাসি। তোমার যেমন অধিকার আছে তোমার পছন্দের মানুষটিকে ভালবাসার, তেমনি আমারও অধিকার আছে আমার পছন্দের মানুষটিকে ভালবাসার। তাই বলে আমি তোমাকে আমার করে চাইব না এখনি। ফাহিম পৃথিবীতে সমকামীরা সবচেয়ে বেশি একা হয়ে পড়ে তাদের শেষ বয়সে, যখন তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ থাকে না। আমি তোমার সেই দিনের সাথী হওতে থাকতে চাই। জানি তুমি কখনোই আমাকে মন থেকে তোমার স্ত্রী হিসেবে মেনে নিবে না, কিন্তু একজন স্ত্রী না হয়ে, একজন বন্ধু হিসেবে আমি এই দাবিটুকু তোমার কাছে রাখতে পারিনা? ভয় পেও না ফাহিম এই ব্যাপারটা আমি কারো কাছে প্রকাশ করব না। কারণ তাতে তোমার আমার চেয়ে বেশি কষ্ট পাবে অন্য কেউ। তাই অন্তত তাদের জন্য হলেও তুমি আমার প্রস্তাবে রাজি হবে। এই প্রত্যাশা আমার। বাকিটা তোমার ইচ্ছা। সায়মন আর তোমার প্রতি আমার দোয়া রইল। মাঝ রাতে তুমি যখন দুঃস্বপ্ন দেখে কাপতে থাক, জানিনা সায়মন তখন তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় কিনা। তার পরেও তোমার মানিয়ে নিবে দুজন দুজনের সাথে। আর চিন্তা কোর না মা বাবাকে আমি মানিয়ে নেব। তুমি সুধু তাদের সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ রেখ। ভাল থেক ফাহিম।
সিমু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আমাদেরও কিছু গল্প আছে। শোনার মত মানসিকতা কি আছে তোমার?

আমাদেরও কিছু গল্প আছে। শোনার মত মানসিকতা কি আছে তোমার?