আজ দুই দিন অনু আড্ডা প্রকাশিত হচ্ছে না। তাতে কারো কোন
মাথা ব্যাথা ছিলো না। কিন্তু একজন অনু আড্ডাকে মিস করেছে। কেন অনু আড্ডা প্রকাশিত
হচ্ছে না মর্মে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। তাই আজকের অনু আড্ডাটি কবি
চৌধুরীকে উৎসর্গ করা হচ্ছে। বন্ধুরা, অনু আড্ডা – ১৮ প্রেজেন্টস মোঃ দিহান।
শুভ্রঃ আচ্ছা দিহান, তুমি সমকামী জগতের সাথে কিভাবে পরিচিত
হলে?
দিহানঃ ছোট বেলা। অনেক ছোট থাকতে বয়স্ক লোক দেখলে ভালো
লাগতো। বুঝতাম। কিন্তু ভাবতাম আমি একাই বুঝি এই রকম।
শুভ্রঃ এটা তো অন্য ভালো লাগা হতে পারতো! এভাবেই কি জানলে তুমি
সমকামী?
দিহানঃ যখন বুঝলাম মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের বেশী ভালো লাগে
তখন শিওর হলাম।
শুভ্রঃ হস্তমৈথুন সম্পর্কে অভিমত?
দিহানঃ হস্তমৈথুন খুবই ভালো লাগে। বেশী করা ঠিক না। জানি
কিন্তু আমি নিজেই অনেক বেশী করে ফেলি।
শুভ্রঃ যেহেতু তুমি নিজের ভেতরেই ছোটবেলা থেকে পুরুষাশক্তি
অনুভব করতে তাহলে প্রথম সেক্সের অভিজ্ঞতা হলো কত বছর বয়সে এসে?
দিহানঃ ১২-১৩ বছর বয়সে।
শুভ্রঃ কার সাথে? বলা যাবে!
দিহানঃ আমার এক কাজিনের সাথে।
শুভ্রঃ সমকামী জীবনের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে যুবক
কাজিনেরা তাদের যৌবন বয়সের লালসা মেটায় রাতে পাশে শুয়ে থাকা কাজিনের উপর। কাজিন কি
তোমাকে ফুঁসলিয়ে সেক্স করেছিলো?
দিহানঃ আমার কাজিনের ইচ্ছাতেই করেছিলাম। তার বাসার ছাদের
উপর।
শুভ্রঃ ছাদের উপর সেক্স! কোয়াইট ইন্টারেস্টিং। আমার সকল
মিলনের অভিজ্ঞতা বদ্ধ ঘরে। কেউ যাতে শুনতে না পায় এজন্য শব্দ না করে। ওপেন পরিবেশে
সেক্স করার মজা কেমন খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
দিহানঃ অনেক ভালো লেগেছিলো। মনে হয়ে ছিলো এর চেয়ে শান্তি
আর কিছুতে নেই।
শুভ্রঃ দুটি দেহ একই সাথে সাড়া দিলে সে মিলন সুখেরই হয়।
একজন বাঁধা দিলে আর অন্যজন জোর করলে সেটা সহবাস নয় ধর্ষন হয়। তো এর পরে তুমি কতবার
সেক্স করেছে?
দিহানঃ অনেকবার করেছি। বয়স্ক লোকেরা আমাকে ভালোবেসে সেক্স
করবে সেটা আমি লাইক করি। অনেক লোকের সাথে সেক্স করতে ভালো লাগে না।
শুভ্রঃ সমকামিতা নিয়ে তোমার জীবনে কোন বাজে ঘটনা আছে?
দিহানঃ আছে। আমি একজনকে ভালোবাসতাম। তার স্ত্রী আমার
বাবা-মাকে বলে দেয়। মা-বাবা অবশ্য বিশ্বাস করেছে বলে মনে হয় না। আর আমি এসব নিয়ে
বেশী ভয় পাই না।
শুভ্রঃ তোমার মত আর যারা সমকামী তাদের উদ্দেশ্যে কি কিছু
বলতে চাও?
দিহানঃ বলতে চাই একজন সমকামী আর একজন সমকামীর প্রতি
রেস্পেক্ট থাকবে। বাইসেক্সুয়ালরা অনেক খারাপ, যেটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে পেয়েছু।
তারা আসলে বউ ছাড়া কিছুই বোঝে না। তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখতে হবে। আমরা সব সমকামিরা
এক থাকবো।
শুভ্রঃ তোমার স্বপ্নের পুরুষ কে?
দিহানঃ শরীফ উদ্দিন বুলবুল। কিন্তু সে আমার অনেক ক্ষতি
করেছে। তারপরও যদি পাওয়ার কোন চান্স থাকে তাহলে তার সাথে আমি সারা জীবন কাটাতে
চাই।
শুভ্রঃ আমি তোমার প্রোফাইল চেক করে দেখতে পেলাম সেখানে
তুমি বুলবুল সাহেবের বিরুদ্ধে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছো? তাকে তো এখনো ভালোবাসো।
তাহলে কেন এটা করেছো?
দিহানঃ কি করবো বলো। ও আমাকে এত এত বেশী কষ্ট দিয়েছে, ওর
বউকে দিয়ে আমার ফ্যামিলিকে কল করিয়ে বলেছে ওকে নাকি আমি জোর করে আজে বাজে কাজ
করাই। এর কিছুদিন আগে ওর সাথে আমার ঝগড়া ছিলো।
আমি কি করতে পারি বলো? আমাকে বুদ্ধি দাও প্লিজ।
শুভ্রঃ কি আর বুদ্ধি দেবো! আমারও তো একটা টিনেজ বয়স গেছে।
তবু এখনকার টিনেজদের আমি বুঝতে পারি না। তারা যেন অন্যকে বুঝতেই চায় না। হয়তো
দুজনেরই দোষ ছিলো। সে এরকমটি কেন করলো তোমার সাথে?
দিহানঃ অন্য ছেলেদের সাথে মিশতে নিষেধ করতাম তাই।
শুভ্রঃ বহুগামীরা সাধারনত এক পুরুষে সীমাবদ্ধ থাকতে
পারেনা। আর এটা কিন্তু পরীক্ষিত যে বাইসেক্সুয়ালরা বেশী মাত্রায় বহুগামী হয়। আচ্ছা
যাকে ভালোবাসতে তাকে এই যে ঘৃণা করো, খারাপ লাগে না?
দিহানঃ ঘৃণা করতে পারলাম কই! এখনো ভালোবাসতে মন চায়।
শুভ্রঃ সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না। তাকে তার মত করে থাকতে
দাও। নিজের ভালোবাসাকে মূল্য দিয়ো।
বন্ধুরা, বিগত তিনদিন কি পরিমান ছোটাছুটি করেছি তা আমার
কাছের বন্ধুরা খুব ভালো করেই জানে। আমি ল্যাপটপ ওপেন করার সময় পর্যন্ত পাইনি।
খুলনা পৌঁছেছি আজ ভোরে। একটা ছেলে দেখা করতে চায় বলে ফেসবুকে প্রচার করে আমাকে
অস্থির করে দিলো। গত রাতেও একবার ফোন করেছে যে আজ সকালে সে রেল স্টেশানে আমাকে
অভ্যর্থনা জানাতে আসবে। নেমে দেখি অনেক মানুষ। কিন্তু আমাকে অভ্যর্থনা করতে কেউ আসেনি।
তাকে বারদুয়েক ফোন দিলাম। রিসিভ করে নি। আমি খুলনার ছেলে হয়েও খুলনার ছেলেদের অনেক
বদনাম করি। কারণ , যে নিজের আত্মসমালোচনা করতে পারে সেই ...। যাই হোক, খুলনার যেসব
বন্ধুরা ইনবক্সে অনুরোধ করছো দেখা করার জন্য তাদেরকে একটা কথা আবারও বলতে চাই,
তোমরা আমাকে অহংকারী ভাবো আর যাই ভাবো, আমি সংগত কারণে খুলনার কারো সাথে দেখা করি
না। একমাত্র সাফা ছাড়া। আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে উনিশতম পর্বে। সেই
পর্যন্ত ভালো থেকো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন